গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের কহলদিয়া গ্রামে অবস্থিত কহলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস
১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি, কহলদিয়া গ্রামের প্রখ্যাত সমাজসেবক ও বাটিকামারী ইউনিয়নের চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ রশিদ ফকির-এর নেতৃত্বে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে, ১৯৯৬ সালে, এটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে এবং পরবর্তীতে এমপিও (Monthly Pay Order) ভুক্ত হয়, যার এমপিও নম্বর ৩৪০৪১৮১৩০১।
একাডেমিক তথ্য
- EIIN নম্বর: ১০৯৬২৮
- শিক্ষা বোর্ড: ঢাকা
- শ্রেণি: ষষ্ঠ থেকে দশম
- শাখা: বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা
- শিক্ষার ধরন: সহশিক্ষা (ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য)
- শিফট: দিবা
- পরিচালনা: পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে
শিক্ষক ও প্রশাসন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ জাকির হোসেন শরীফ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন মোতালেব হাওলাদার। শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল
বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। বিগত বছরগুলিতে এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাশের হার সন্তোষজনক এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম
শিক্ষার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০২৫ সালে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয় ছিল। এছাড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণ বিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা
২০২৪ সালে, কহলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থী আব্দুল আলী ও হালিবন নেছা ফাউন্ডেশন থেকে মেধাবৃত্তি লাভ করে, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগায়।
যোগাযোগ
- ঠিকানা: কহলদিয়া, বাটিকামারী ইউনিয়ন, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ
- ডাকঘর: কহলদিয়া
- মোবাইল: ০১৭২১১৬৭২৪
- ইমেইল: kahaldiahighschool@yahoo.com
কহলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে আলোকিত করবে — এই প্রত্যাশা সকলের।